কুমিল্লার দেবীদ্বারে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ইটভাটার মালিককে ৫ লক্ষ টাকা এবং জমির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চন্দ্রনগর ‘এমডিবি ইটভাটায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে ভ্যাকুর সাহায্যে অবৈধভাবে আবাদী জমির মাটি কাটার অভিযোগে ‘এমডিবি ইটভাটা’র ব্যবস্থাপক বুড়িচং উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত: আব্দুস শুক্কুর মিয়ার পুত্র মো. মনির হোসেনকে ৫ লক্ষ টাকা এবং জমির মালিক চন্দ্রনগর গ্রামের মৃত: আব্দুল হাকিমের পুত্র মো. লুৎফর রহমানকে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মাটি বিক্রয়ের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন একই সাথে মাটি কাটার ভ্যাকুটিকে জব্দ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক জানান, চরবাকর এলাকায় ১১টি ব্রীক্স ফিল্ড রয়েছে। যে সব ব্রীক্স ফিল্ডে মাটি সরবরাহকারী শতাধিক ট্রাক্টরের অত্যাচারে ও নিরাপত্তাহীনতায় চরবাকর প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবাকর মাদ্রাসা, চরবাকর উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রনগর মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবারুন বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষার্থী কমে যাওয়ায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ‘এমডিবি ইটভাটার’ মালিক দেবীদ্বার পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কমিশনার আব্দুল আলিম জানান, আমাদের ইটভাটা চালাতে প্রচুর মাটির প্রয়োজন, গোমতী নদীর চরের মাটি কাটায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায়, ইটভাটার পাশের জমির মালিক তার টাকার প্রয়োজনে আমাদের নিকট মাটি বিক্রি করেন। ভ্রাম্যমান আদালত মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আমাদের ৫ লক্ষ এবং জমির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মাটি কাটার ভ্যাকুটিও জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, ইটভাটার মালিক ভ্যাকু দিয়ে আবাদী জমির মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগে ৫ লক্ষ টাকা এবং জমির মালির শ্রেণী পরিবর্তন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। অবৈধভাবে মাটি কাটা এবং জমির শ্রেণী পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।