প্রবাসী বাবাকে এগিয়ে আনতে যেয়ে সড়কে প্রাণ গেল পুত্রের। দূর্ঘটনায় বাবাসহ পরিবারের আরো ৭জন আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত যুবক মো. সাইফুল ইসলাম সাকিব (১৯) দেবীদ্বার উপজেলার গৌরসার গ্রামের গেদু সরকার বাড়ির সৌদী প্রবাসী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। নিহত সাকিব চলতি বছর এলাহাবাদ আদর্শ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। তার মৃত্যু সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায়। ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সৌদী প্রবাসী বাবাকে নিয়ে বাড়ি আসার পথে ডেমরা এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সাথে সিটি বাসের মুখমূখী সংঘর্ষে ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে আরোহনকারী মো. সাইফুল ইসলাম সাকিব(১৯), তার বাবা প্রবাসী মো. শহীদুল ইসলাম(৪৫), ভাই মো. সাকিম(১০), খালু মো. মামুনুর রশিদ(৩০), ফুফাতো ভাই নাজমুল(২৪), হাসান(২৬), এবং মাইক্রোবাস চালক আল আমিন সোহাগ(৩২)সহ ৭ জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুমূর্ষাবস্থায় সাইফুল ইসলাম সাকিব, মাইক্রোবাস চালক আল আমিন সোহাগ ও প্রবাসী মো. শহীদুল ইসলামকে আইসিইউতে রাখা হয়। আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টায় সাইফুল ইসলাম সাকিব মারা যায়।
সাইফুল ইসলাম সাকিবের মামা দেবীদ্বার ফারিয়ার সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার তার মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি জানান, তার ভগ্নীপতি মো. শহীদুল ইসলাম প্রায় ১৮/১৯ বছর যাবৎ সৌদী আরব প্রবাসে থাকেন। মঙ্গলবার বিকেলে দেশে আসেন। এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা চালকসহ ৭ জনই আহত হন। আহতদের মধ্যে তার বড় ভাগিনা সাইফুল ইসলাম সাকিব আজ বুধবার সন্ধ্যায় মারা যায়। তার মরদেহ নিয়ে আজ রাতেই বাড়ি ফিরবে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। আহতদের মধ্যে ভগ্নীপতি শহীদুল ও চালক আল আমিনের অবস্থা আশংকাজনক। তারা সকলে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।