যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে কুমিল্লার দেবীদ্বারে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার( ১৬ ডিসেম্বর) দিন ব্যাপী নানান আয়োজন ছিল দিবসটিকে ঘিরে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছে বাঙালি জাতি।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় দিবসটির প্রত্যুষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ এর শুভ সূচনা হয়। সূর্যদের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বারের সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, দেবীদ্বার উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, দেবীদ্বার পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, সদ্য পদত্যাগী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও ছাত্রীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা- ৪ দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। ভারপাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. নাজমা বেগম, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম শামীম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (দেবীদ্বার সার্কেল) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রোশন আলী মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিউদ্দিন শফি, সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল হোসেন রাজু, শিরিন সুলতানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশারসহ আ’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণদের সংবর্ধনা, হাসপাতাল ও সরকারি শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত, বিকালে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাদশ বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ ফুটবল প্রীতি ম্যাচ এবং সন্ধ্যা ৬টায় পরিষদ হলরুমে জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে রাত ৮টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। এর মধ্যে দিয়েই শেষ হবে বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপনের কর্মসূচি।