আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে পরিবারকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবার থেকেই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ, বধ্যভূমি/ গণকবর গুলো সংরক্ষণে শহীদদের নামের তালিকাসহ স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মৃতিসৌধ নির্মাণে আর সময় কালক্ষেপন করা যাবেনা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে আয়োজিত ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’র আলোচনায় বক্তারা ওই বিষয়গুলো তুলে ধরে তা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। আলোচকগন দেবীদ্বারের শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক অবণী মোহন দত্ত ও বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়নকারীদের অন্যতম অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের বিষয়টি তুলে ধরে ব্যপক আলোচনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ নয়ন মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নাজমা বেগম, জেলা পরিষদ সদস্য শিরিন সুলতানা, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম শামিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার প্রমূখ। এর আগে শহীদদের স্মরনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্বাধীনতাস্তম্ভ, গনকবরে শহীদদের স্মরনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।