কুমিল্লা দেবীদ্বারে রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বাড়িঘর ও মার্কেট পুড়ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ দক্ষিণ বাজারের বাসিন্দা রোবেল হোসেনের বাড়ির রান্না ঘর থেকে। অগ্নিকাণ্ডে ২ টি বাড়ি ও কয়েকটি দোকান সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে মুরাদনগর ও বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট এসে প্রায় ১ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষনে ২টি বাড়ি ও ২টি দোকানের নগদ টাকা, আসবাব সামগ্রী ও মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
স্থানীয় ও ভোক্তভূগীরা জানান, জাফরগঞ্জ বাজারের মৃত: রুহুল আমিনের পুত্র রোবেল হোসেনের বাড়ির রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ওই আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ২টি বাড়ি ও ২টি বড় দোকান সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে তাদের। সিনিয়র ফায়ার ফাইটার নূরে আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডে প্লাস্টিকের ফাইবার পুড়ে এবং কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ায় আগুনের তীব্রতা একটু বেশি ছিলো। আমাদের দুটি ফায়ার টিমের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ জাফরগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা মৃত রুহুল আমিন মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী মোঃ রোবেল হোসেন জানান, অগ্নিকান্ডে দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা তার নগদ ১৫ লক্ষ টাকা, ‘ভাই ভাই টেলিকম সেন্টার’ বিকাশ সেন্টার, গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাসের চুলা এবং বসতঘরের আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও বিকাশে লেনদেনের নগদ টাকাসহ অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জাফরগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা মির ইসমাইল হোসেন জানান, তার বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে আর্থিকভাবে প্রায় ৩৫/৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মূখীন হন। এছাড়াও তার ৩ ভাড়াটিয়া ১টি ডেকোরেটরের দোকান মালিক অহিদুর রহমান, প্রবাসী আমির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্ণ গয়নাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিস এর ফায়ার হাউজ ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ও বুড়িচং ফায়ার স্টেশনের দুই টিম মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রান্নার ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ্যদের তালিকাসহ ক্ষতির পরিমান জানার পরই দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে আর্থিক হযোগীতা করা হবে।