কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মোটরসাইকেল চোর এবং ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার জালিয়াতি সংঙ্গবদ্ধ চক্রের ৪সদস্যকে আটক করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। আটক কৃতরা হলেন বাঙ্গড্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া বোম্বাই বাড়ির সাইদ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০), গান্দাচি পূর্বপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে পাশ্ববর্তী উত্তর মাহিনী হাজি বাড়ির মৃত আনা মিয়ার ছেলে সফি উল্লাহ (৩২), করের ভোমরা মুন্সি বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৭) ও নূরপুর দক্ষিণ পাড়া হাজি বাড়ির ছালেহ আহম্মদের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া (২৭)। আটকৃতদের সোমবার দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার সকালে নাঙ্গলকোট থানা হল রুমে মিডিয়া ব্রিফিং করেন অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা পরিদর্শক তদন্ত সাইফুল ইসলাম, উপ পরিদর্শক নাজমুল হক, নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব উপদেষ্টা আবুল কাশেম গাফুরি, সভাপতি এ.এফ.এম শোয়াইব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক বারি উদ্দিন আহম্মেদ বাবর, সাংগঠনিক সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, সদস্য সাইফুল ইসলাম, মুহিবুল ইসলাম, সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, হুমায়ুন কবির প্রমুখ। আটকৃতদের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় একটি চোরাই মাল ক্রয়বিক্রয় ধারায় মামলা করা হয়, যার নং ৫।
মিডিয়া ব্রিফিং এ নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপ পরিদর্শক নাজমুল হক সঙ্গীয় ফোর্স শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ওই গ্রামের জহিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার পরিবর্তন কালে হাতেনাতে জহিরুল ইসলাম ও চক্রের অপর সদস্য উত্তর মাহিনী হাজি বাড়ির মৃত আনা মিয়ার ছেলে সফি উল্লাহকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইয়ামাহা এফজেড এস ভার্সন-২ ও ১২ ইঞ্চি লম্বা একটি লোহার রেঞ্চ, একটি প্লাস, মোটরসাইকেল ইঞ্জিন ও ৯টি চেসিস নাম্বার পরিবর্তনে ব্যবহারিত লোহার ডাইছ উদ্ধার করে। এসময় আটকৃতরা স্বীকার করেন, তারা-সহ আরো কয়েকজন মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাইকৃত মোটরসাইকেল বিভিন্ন জায়গা হতে ক্রয় করে ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছে এবং তাদের কাছে আরো চোরাই মোটরসাইকেল মজুদ রয়েছে। পরে আটকৃতদেরকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে চক্রের আরেক সদস্য করের ভোমরা গ্রামের শাহাদাত হোসেনকে আটক করে তার কাছ থেকে ১লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বাজাজ বি-১৫ নামের একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার ও নুরপুর দক্ষিণ পাড়ার জিয়াউল হক জিয়াকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এফ জেড ভার্সন ৩ মোটরসাইকেল এবং ২লাখ ২০হাজার টাকা মূল্যের ২টি বাজাজ ডিস্কোভার মোটরসাইকেল-সহ আটক করা হয়।