কুমিল্লার লালমাইয়ে অভিনব কায়দায় ১৭টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র গভীর রাতে মিটার চুরি করে মিটারের স্থলে রেখে যায় চিরকুট। চিরকুটে চোর চক্রের সদস্যরা যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর ও মিটারের সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে গেছে। চিরকুটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলেই জিজ্ঞেস করা হয় মিটারের সিরিয়াল নাম্বার এবং চাওয়া হয় টাকা। বিকাশে টাকা পাঠালে কোথায় মিটার পাওয়া যাবে তা ফোনে বলে দেওয়া হয়। অজ্ঞাত স্থানে রেখে যাওয়া হয় মিটার। সেখান থেকে মিটার সংগ্রহ করতে হয় ভুক্তভোগীদের। এলাকায় এই প্রথম এমন অভিনব চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার হরিশ্চর এলাকার রিদম ফার্ণিচার, বাগমারা বাজারে মালেক ‘স’ মিল,, রহিম ফার্ণিচার, বাগমারা অশ্বত্থতলা মাহমুদা ফার্ণিচার, ভাই ভাই এসএস স্টীল, সাইফুল ‘স’ মিল সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৭টি মিটার চুরি হয়। এ ঘটনায় মালেক ‘স’ মিলের স্বত্বাধিকারী আবদুল মালেক বাদী হয়ে লালমাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১১৩৭) করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. স্বপন জানান, লালমাই উপজেলার অস্থায়ী ভবনের পাশেই আমার ভাই ভাই এসএস স্টীল দোকান থেকে রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিচে একটি কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে তারা। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে ওই মিটারের জন্য ২০ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় তারা। এমতাবস্থায় প্রথমে ২ হাজার টাকা এবং পরে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে চাইলে কম হবে না বলে তারা সাফ জানিয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ আমাদেরকে আশ্বস্ত করে।
ঘটনার বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বাগমারা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. হানিফ বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনো কোনো মিটার পাওয়া যায় নি। চুরি ঠেকাতে আমরা বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার চুরির বিষয়টি উল্লেখ করে একজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।