রবিবার (২২ ডিসেম্বর) কুমিল্লার লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজার থেকে কুমিল্লা অঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
লংমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরী। পরে তিনি জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কে সাবেক কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকার পুনর্বহালের দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
এসময় বি এন পির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরী বলেন,
বঞ্চিত হয়েছি আমরা কুমিল্লা দক্ষিণের মানুষ। আমাদের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কুমিল্লা- ৯ নির্বাচনী এলাকাকে প্রথমে দুই ভাগ এবং পরে তিন ভাগ করে জাতীয় ষড়যন্ত্রে রুপান্তরিত করেছে সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল।
তিনি বলেন, সাবেক কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচন দিতে হবে। ২০০৮ সালে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কুমিল্লা-৯ আসনকে বিএনপি নির্বাচনী এলাকায় হওয়া অন্যায় ভাবে পৃথক করেছে, আমরা ঐ আমলের সকল নির্বাচন কর্মকর্তা বিরুদ্ধে মামলা করবো।
তিনি আরো বলেন,বিগত ২০১৪ সালের কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকার নিয়ে হাইকোর্ট একটি রায় দেন, কিন্তু ঐ আসনের সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল ক্ষমতা প্রভাব বিস্তার করে রায়টি স্থগিত করেন। এতে করে কুমিল্লা দক্ষিণ অঞ্চলকে পৃথক করেন কমিশনার। আমরা নতুন নির্বাচন সংস্কার কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি এই সমস্যাটি সমাধান হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বি এন পি নেতা ড. শাহ মোঃ সেলিম, বিএনপি নেতা কাউন্সিলর শাহআলম মজুমদার, বৃহত্তর সদর দক্ষিণ উপজেলা ঐক্যসংহতির সভাপতি ও সদর দক্ষিণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মজুমদার, বিএনপি নেতা এডভোকেট আকতার হোসাইন, ওমর ফারুক চৌধুরী, আমানউল্লাহ চেয়ারম্যান, মাসুদ করিম, ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, যুবদল নেতা কাউন্সিলর মোঃ খলিলুর রহমান মজুমদার, ছাত্রদল নেতা নুর মোহাম্মদ মজুমদারসহ সাবেক-৯ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।