বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওয়াতায় গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের পুষ্টি এবং শিশুর সংবেদশীল ও উদ্দীপনামূলক দুই দিনের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহসান মুরাদ।
যত্নে রাখি শিশু ও মা, গড়ি আগামীর সম্ভাবনা এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে প্রতি ব্যাচে ৩৬ জন করে দু’টি ব্যাচে ৭২ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
শিশু জীবনের প্রথম এক হাজার দিনে শিশুর পুষ্টির যে গুরুত্ব রয়েছে এবং পুষ্টির সাথে শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের যে বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে তা সামাজিক সুরক্ষা কৌশল ২০১৫ এ বিশেষ ভাবে উল্লেখ রয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি হ্রাস করতে এবং তাদের সুস্থতার উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই পরিপেক্ষিতে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের পুষ্টি এবং চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সার্বিক বিকাশে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মায়েদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে এবং তাদের আচরণগত পরিবর্তন আনতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই সাথে পুষ্টির পাশাপশি শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মাতৃগর্ভ থেকেই শিশুর বিকাশ শুরু হয় এ সময় মায়ের শারীরিক, মানসিক ও আবেগিক সুস্থতার সরাসরি প্রভাব পড়ে গর্ভে থাকাকালীন শিশুর মস্তিস্ক বিকাশের উপর।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাসির আহম্মেদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফরহাদ আলম খান, প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রনজিত সেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহম্মদুল্ল্যাহ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। জাফর আল সাদেক, মৎস কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা মো: সারওয়ার হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল হাসেম