পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাট কাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার পাটচাষিরা। নতুন পাট বাজারে বিক্রি করে পরিশ্রমের ফল ঘরে তোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। গত বছরের তুলনায় এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে কম পাটের চাষ হয়েছে। তবে এবার সোনালী আঁশ উৎপাদনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরো কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর বাজরে পাটের দাম ভালো থাকায় এ উপজেলার কৃষকরা এ বছর আবারো পাট চাষ করেছেন।
উপজেলার দুলালপুর গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, গত বছর তিনি ৩৩ শতক জমিতে পাট চাষ করে ভাল দাম পেয়েছেন। এ কারণে এ বছর তিনি এক একর জমিতে পাট চাষ করেছেন। একই গ্রামের কৃষক শানু মিয়া ও স্বপন মিয়া জানান, এক সময় তারা পাট চাষের উপরই নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর পূর্বে হঠাৎ করে পাটের দাম কমে যাওয়ায় তারা পাট চাষের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু গত বছর পাটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর তাদের অধিকাংশ জমিতে পাটচাষ করেছেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাটচাষে আর্থিক খরচ ও শ্রম দু’টোই কম লাগে। তাছাড়া পাট অধিক লাভজনক একটি ফসল। গত বছর চাষীরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এ বছর কৃষকেরা পাটচাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ বছর পাট চাষে আমাদের লক্ষমাত্র ছিল ৭৫ হেক্টর জমি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে না থাকায় কৃষকেরা সঠিক সময়ে তাদের জমিতে বীজ বপন করার সুযোগ পায় নি। এতে এ বছর এই উপজেলায় ৫৪ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত পাটের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হলে সরকারি ভাবে পাটের দাম নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবে এবং আগামীতেও পাট চাষে তাদের আগ্রহ আরও বারবে।
ক্যাপশন:- কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাট কাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পাটচাষিরা। নতুন পাট বাজারে বিক্রি করে পরিশ্রমের ফল ঘরে তোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। ছবিটি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দুলালপুর এলাকা থেকে তোলা হয়েছে।