আজ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুবিতে অধ্যাপক তাহেরকে বিভাগীয় প্রধান করতে আদালতের রায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন অনুযায়ী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে ক্রমান্বয়ে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দিতে এ আইন মানেননি কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর না পাওয়ায় আদালতে রিট করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। রিট আবেদন অনুযায়ী অধ্যাপক তাহেরকে বিভাগীয় প্রধানের পদ দিতে রায় দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রায়ে আগামী এক মাসের মধ্যে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে বিভাগীয় প্রধান পদে নিয়োগ দিতে বলেছে আদালত। এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া কেন বেআইনি হবে না, প্রশাসনকে তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন এর ২৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিভাগীয় অধ্যাপকদের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে তিন বৎসর মেয়াদে ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হইবেন’। এ আইন অনুযায়ী বিভাগে কোনো অধ্যাপক না থাকায় ২০২০ সালের ১৭ জুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে। ওই পদে জুলহাস মিয়ার তিন বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১৫ জুন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জুলহাস মিয়াকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হয়।
বিষয়টিকে আইনের ব্যত্যয় উল্লেখ করে করে ১৮ জুন বিভাগীয় প্রধানের পদ পেতে অধ্যাপক তাহের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন। পরবর্তীতে ৯ জুলাই একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন অধ্যাপক তাহের। প্রশাসন বিষয়টি আমলে না নিলে আদালতে রিট করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী আমি বিভাগীয় প্রধান হই। কিন্তু উপাচার্য সুস্পষ্টভাবে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ড. জুলহাস মিয়াকে কন্টিনিউ করিয়েছেন। আমি আইন অনুযায়ী বিভাগের প্রধানের জন্য রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে অধিকার আদায়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হই, যেটা আমার পক্ষে রায় আসছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী নিজেদের আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

আরো পড়ুন

সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে পিএসসির সচিব ড. সানোয়ার জাহান।

কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Institutional Quality Assurance Cell (IQAC) এর উদ্যোগে Theories of Advanced Pedagogy and Practical Aspects...

Read more
কুমিল্লা সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দশক পূর্তি উৎসব ও ক্লাব কার্নিভাল শুরু।

কুমিল্লা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী এক দশক পূর্তি উৎসব ও ক্লাব কার্ণিভাল অনুষ্ঠান। ৩০ অক্টোবর...

Read more
সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মিট এন্ড গ্রিট সম্পন্ন।

প্রাচীন সভ্যতার অনন্য নিদর্শন কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় সবুজে ঘেরা বিশাল নান্দ্যনিক ক্যাম্পাসে অবস্থিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের...

Read more
সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ ও বিদায়।

সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ (বিবিএ) এর স্প্রিং এবং ফল-২০২০ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা এবং...

Read more
কোটাবিরোধী আন্দোলন, কুবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ!

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা...

Read more

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
Scroll to Top