রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকার জানান স্থানীয় রসুলপুর পূর্ব পাড়ার জাহাঙ্গীর আলম এর মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তার (১৪)বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় বিদ্যালয়ে আসার সময় রসুলপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে কাটানিসার মাজারের সামনে দিয়ে রেলপথ পার হওয়ার সময় ট্রেনে নীচে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান ওই খানে রেলের রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম – ঢাকা গামী চট্লা ট্রেনের সামনে দিয়ে দ্রুত রাস্তা পার হয়ে ২য় রাস্তা পার হওয়ার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার গামী পর্যটন ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মিম আক্তারের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও স্কুলের সকল শিক্ষার্থী শিক্ষক ঘটনাস্থলে আসে। এলাকাবাসী ও স্কুলের সকল শিক্ষার্থী রেলসড়ক প্রায় ৩ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। সকলের দাবী কাটানিসার মাজারের সামনে নিরাপত্তার জন্য গেইট ও গেইট দিতে হবে।
এদিকে আদর্শ সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন সর্মা বলেন শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার সময় মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মিম। সে সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ক্রস করছিল। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেনটি না দেখায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।অপর দিকে ঘটনার পর থেকে ওই রেললাইনে অবস্থান করছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এ অবরোধের কারণে রসুলপুর স্টেশনে আটকে আছে ঢাকাগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন।
আমি ও রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেই ঘটনাস্থলে একটি রেল ক্রসিংয়ে একটি গেইটের ব্যবস্থার আস্বাস্থ করলে সকলে বাড়ি ফিরে যায়।
এদিকে নিহত মিম আক্তারেরর কাফন দাফনের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন সর্মার তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা তার পরিবারের নিকট দেয়া হয়েছে। এর পর ও সরকারি আরও সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে শিক্ষার্থীরা কেন রেললাইন অবরোধ করেছে তা জানি না। তাদের সঙ্গে কথা বলছি আমরা।’
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
সাবেক কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে কয়েক'শ গাড়ি ও হাজারো সমর্থক নিয়ে লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজার হতে সদর দক্ষিণ হয়ে...
Read more