পরিবারের অভাব ঘুচাতে ওমানে পাড়ি জমান মোঃ রাতুল(২০)। প্রবাস জীবনের বছর না ঘুরতেই সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়ির চাকায় প্রাণ গেল রাতুলের। পরিবারে অসুস্থ্য বাবা, অনেক স্বপ্ন নিয়ে ধারদেনা করে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ওমানে পাড়ি জমান রাতুল। হঠাৎ রাতুলের এমন মৃত্যুর খবরে তার পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
নিহত রাতুল (২০) দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের (রশিদ মেম্বার বাড়ির) আঃ রাজ্জাক মিয়ার পুত্র, বর্তমানে দেবীদ্বার পৌর এলাকার ‘পূর্বাশা আবাসিক এলাকা’র বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে পরিবারের হাল ধরতে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে পাড়ি জমান রাতুল। সেখানে ওমানের রাজধানী মাসকাটের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে কাজ করতেন তিনি। প্রায়ই বিকেলে অবসর পেলে রাজধানীর মেট্রো সেন্টারের পাশে সড়কের ধারে একটি পার্কে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল ৫ টায় বন্ধুকে নিয়ে ওই পার্কে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার বেপরোয়া গতিতে এসে পার্কের ভেতরে ঢুকে রাতুলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
একমাত্র পুত্রের মৃত্যুর খবর শুনে নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা পুত্র শোকে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন রাতুল। পরিবারের তিন মেয়ে এক ছেলের মধ্যে সে সবার ছোট। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। রাতুলের বাবাও উপার্জণ অক্ষম।
পরিবারের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা আঃ রাজ্জাক মিয়া। সরকারের কাছে শেষ মিনতি, ফিরে পেতে চান প্রবাসী ছেলের লাশ।