ফ্যাসিবাদী সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলার শিকার হয়ে দেশের বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের পাঁচবারের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ দাদাকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে উচ্চ আদালত। দীর্ঘ তেরো বছর ধরে দেশের বাইরে থাকা মুরাদনগরের এই জননন্দিত নেতা তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরছেন আগামী ২৮শে ডিসেম্বর। জনপ্রিয় নেতা কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে মুরাদনগরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বইছে। দল মত র্নিবিশেষে সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এই নেতাকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানাতে নিচ্ছেন ব্যাপক প্রস্তুতি। এই লক্ষ্যে মুরাদনগর উপজেলা সদরে আলোকসজ্জা করন সহ বিভিন্ন এলাকায় করা হচ্ছে প্রস্তুতি সভা।
বুধবার উপজেলা সদরে সচেতন নাগরিকদের আয়োজনে একটি বিশাল প্রস্তুতি সভা করা হয়। প্রস্তুতি সভার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করেছেন আয়োজকরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সেনাবাহিনীর (অবঃ) ক্যাপ্টেন (অবঃ) হারুন রশিদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর (অবঃ) মেজর মোঃ শাহজাহান, প্রধান শিক্ষক (অবঃ) খন্দকার আমিরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অবঃ) মফিজুল ইসলাম, সাবেক সেনা সদস্য আবুল কাশেম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহীদুল্লাহ, আবু তাহের, নজরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম ও গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তব্যে সেনাবাহিনীর (অবঃ) ক্যাপ্টেন (অবঃ) হারুন রশিদ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর হতে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদা দীর্ঘ ১৩ বছর পর স্বদেশে আসবেন।
আপনারা জানেন, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার অর্ধযুগ পর ৩য় চার্জশিটে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের নাম সংযুক্ত করে। এবং কোন সাক্ষী প্রমান ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পুতুল বিচারক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ফরমায়েশী রায় দেয়। কিন্তুু সত্য কখনো চাপা থাকে না। মহান আল্লাহর রহমতে ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর এ মিথ্যা মামলার রিভিউ শুনানিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ সকল নিরাপরাধ নেতৃবৃন্দকে খালাস দেন উচ্চ আদালত।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছবেন আমাদের প্রাণপ্রিয় মজলুম জননেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও মুরাদনগরে তার বাবা মায়ের কবর যিয়ারত করবেন। দাদার আগমনকে কেন্দ্র করে মুরাদনগরে আনন্দ বিরাজ করছে। হাজার হাজার নয় লক্ষ লক্ষ মানুষ সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদাকে বরণ করতে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতার আগমনে সেদিন ঢাকা সমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে দাদার এ আগমন এবং সকল ষড়যন্ত্রের পরেও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ইতিমধ্যে নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আপনারা জানেন জনপ্রিয় এ নেতাকে হত্যা করে ব্রিক ফিল্ডে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এখনো সেই ফ্যাসিস্টরা নানানভাবে সরব রয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ এ ক্ষেত্রে আপনাদের মাধ্যমে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকা যাবে প্রিয় নেতাকে বিমানবন্দরে বরণ করতে। সে সুবাধে কোন দূস্কৃতিকারী যেন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।