কুমিল্লার দেবীদ্বারে অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা খেলো জাকির ভূইয়া(৫৫) এবং রানু বেগম(৪০) নামে দুই ব্যাক্তি। পরে তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
বুধবার (১মে) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দেবীদ্বার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ভিংলাবাড়ী পূর্বপাড়া জাকির ভূঁইয়ার নিজ ঘরে ঘটনাটি ঘটে। এসময় এলাকার লোকজন অভিযুক্ত দু’জনকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়। খবর শুনে দেবীদ্বার থানার এসআই মিল্টন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে থানায় খবর দিলে, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নয়ন মিয়াসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় হোসেন এবং রোবেল মিয়া জানায়, তাদের এলাকায় একজন লোক মারা গেলে তারা জানাজা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় ভিংলাবাড়ী পূর্বপাড়া এলাকার জাকির ভূঁইয়ার টিনশেড ঘরে একজন অচেনা মহিলা প্রবেশ করে দেখতে পেয়ে এলাকার লোকদের সন্দেহ হয়। পরে তারা বিষয়টি নজরদারিতে রাখে এবং মহিলা প্রায় একঘন্টা জাকির মিয়ার ঘরে সময় কাটিয়ে ঘরের পেছনের দিক দিয়ে তারাহুরা করে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক ওই মহিলার পথরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে। মহিলা জাকির হোসেনের সাথে ১হাজার টাকার বিনিময়ে দৈহিক সম্পর্ক করেছে বলে এলাকাবাসী ও পুলিশকে জানায়।
২নংওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এমএ কাইয়ুম ভূঁইয়া এবং কাউন্সিলর আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভিংলাবাড়ী পূর্বপাড়ায় অবৈধ মেলামেশার ঘটনায় তাদের এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেরাই ঐ কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত জাকির ভূঁইয়া এবং রানু বেগম অবৈধ মেলামেশার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় জানান, পৌরসভার ভিংলাবাড়ী এলাকা থেকে আটক করা দু’জনই অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।