বৈশাখ শুরু হয়েছে সেই অনেক দিন আগেই, এসময় কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি থাকার কথা। কিন্তু প্রকৃতির বৈরী আচরণ আর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় গরমে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই একটু প্রশান্তির আশায় কাঠফাটা দুপুরে তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি পেতে পুকুরে দুরন্তপনায় মেতেছে একদল শিশু- কিশোর।
মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরেজমিনে উপজেলা সদরের উপজেলা পরিষদ পুকুর, সুজাত আলী সরকারি কলেজ পুকুর, রেয়াজউদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পুকুর এবং দেবীদ্বার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পুকুর ঘুরে দেখা গেছে প্রায় একই রকম চিত্র, কখনো কখনো পুকুরের পানিতে সাঁতার কাটছে, আবার কখনো লাফিয়ে ছুটছে দুরন্ত শিশু- কিশোরের দল। তারা কখনো একা আবার দুই- তিনজন মিলে পাড়ে উঠে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে পুকুরের পানিতে। শিশুদের এমন দুরন্তপনা দেখে নিজের শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যাবেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুরূহ। গ্রাম কিংবা শহর প্রচণ্ড তাপদাহ আর লোডশেডিংয়ের দৈত্য খেলায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে এখন সবখানে।
এসময় কথা হয় ৮বছরের শিশু ইমরান, ৯বছরের খাইরুল এবং ১৪বছরের কিশোর সুমন, ১৬বছরের আরমান, আরাফাত, ১৭বছরের জিসান, ২০ বছরের প্রান্ত ও শরিফের সাথে। তারা জানায়, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। কারেন্ট শুধু আসে আর যায়। গরমের জন্য বাসায় থাকতে পারিনা। খেলাধুলা করার জন্য তেমন কোনো যায়গা নেই। এলাকার অনেকগুলো পুকুর ভরাট করে ফেলেছে, তাই আমরা উপজেলা পুকুরে গোসল করতে এসেছি। এখানে বন্ধুরা মিলে অনেক মজা করতে পারি। তাছাড়া এখানে দূর থেকেও অনেক মানুষ আসেন।