কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সন্ধ্যা মানেই চলে পিঠা- পুলির উৎসব। শীতের মৌসুমে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন ফুটপাতে দোকানিরা। গরম গরম পিঠার স্বাদ নিতে দোকানগুলোতে ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এমন দৃশ্য দেখা গেছে দেবীদ্বার উপজেলা সদরের নিউমার্কেট সহ বিভিন্ন অলিগলিতে।
শীতের মৌসুমে পিঠা ব্যবসা করে অনেক দরিদ্র মানুষের সংসার চালানোর পথ সুগম হয়েছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেকের সংসার। এমনি একটি পরিবার মলেকার।
দেবীদ্বার নিউমার্কেট এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রয়কালে কথা হয় পিঠা বিক্রেতা মলেকার সাথে এসময় তিনি জানান, দেবীদ্বার পৌর বারেরা গ্রামের জহিরুল ইসলাম পেশায় দিন মুজুর তার স্বামী অসুস্থ হয়ে ঘরে বসে থাকায় পরিবারে ছোট ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছে তার পরিবার, তাই সংসারের খরচ জোগাতে মলেকা বেগম দেবীদ্বার নিউমার্কেট এ্যপোলো রেষ্টুরেন্টের সামনে অল্প টাকার পুঁজিতে পিঠার দোকান দিয়ে প্রতি চিতই পিঠা ১৫ টাকায় ও ভাপা পিঠা ১০ টাকা দরে বিক্রি করে। পিঠা বিক্রি শেষে দৈনিক তাঁর আয় হয় প্রায় ৫ শ থেকে হাজার টাকা। এই আয় দিয়েই চলছে মলেকার সংসার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইটে অপর এক ভাপা পিঠা বিক্রেতা আব্দুল হাকিম জানান, দীর্ঘ আট বছর যাবৎ শীতের সময়ে এখানে পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করে দিন শেষে লাভ থাকে প্রায় ৬ থেকে ৭শত টাকা, এই আয়ে তার সংসার ভালো চলে বলে তিনি জানান। নিউমার্কেট জনতা ব্যংকের সামনে ভোষনা গ্রামের পিঠা বিক্রেতা নজরুল বলেন শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করা তার একটি সৌখিন ব্যবসা। এতে শীতকালীন সময়টা বাড়তি আয়ে সংসার ও পরিবারকে নিয়ে পরিবারকে নিয়ে ভালো ভাবে দিন যাপন করতে পারি। সুজাত আলী সরকারী কলেজ হোস্টেলের সামনে ছোটআলমপুর গ্রামের পিঠা বিক্রেতা মো. কবির হোসেন জানান দৈনিক বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি এতে প্রায় হাজার টাকা আয় হয়। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে পরিবার নিয়ে ভালোই সংসার চলছে।
মুরানগর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের শিরিনা আক্তার পিঠা কিনতে এসে জানান, পিঠা খাওয়া সকল মানুষের একটা বিশেষ সখ, পিঠা বিক্রেতার দোকান দেখলে মনের রুচিকে সামলানো যায় না তাই পিঠা কিনতে আসলাম। দেবীদ্বার পদ্মকোট গ্রামের আরেক পিঠা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান শীতকালে পিঠা খাওয়া মানুষের খুব পছন্দের। বাড়িতে পিঠা তৈরির উপকরণ মিলাতে না পারলে সখের বসত পিঠা দোকান থেকেই কিনে খেতে পছন্দ করি।