সোমা আক্তার নামের এক নারীকে (স্ত্রী) অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামে।
এমন অমানবিক নির্যাতনের খবর জানতে পারেন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোজাম্মেল হক। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ঘুরতে থাকে।
মডেল থানার ওসি ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ওই ইউনিয়নের বিট অফিসারসহ সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজয় মজুমদারকে ভুক্তভোগী নারীকে দেখতে পাঠান ও ঘটনার বিস্তারিত জানার নির্দেশ দেন।
ওসির নির্দেশ মোতাবেক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার( উপ-পরিদর্শক) এসআই সুজয় মজুমদার।
তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত নারী ও আশপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যবিবরণী ওসি মোজাম্মেল হককে জানালে তিনি ভিকটিমের মতামত নিয়ে নির্যাতীত নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
পরে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী মডেল থানার ওসি বরাবর একটি অভিযোগ করলে অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্যাতিত নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়।
নির্যাতিত নারী সোমা আক্তার গত মঙ্গলবার বিকালে মামলা দায়েরের পরদিন বুধবার স্ত্রীকে নির্যাতনকারী স্বামী কবির পাঠানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজয় মজুমদার।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম জানান,” দাউদকান্দি মডেল থানাধীন দশপাড়া গ্রামে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক দাবি করেন তার স্বামী। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে নারীকে অমানবিক নির্যাতন করেন মিজান পাঠান নামের ঐ ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।