কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মরা গাছ দুর্ঘটনার হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহুদিন থেকেই। ফলে সামান্য ঝড়ো বাতাসে এসব গাছ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে পথচারী, সড়কে চলাচলরত যানবাহন, সড়কের পাশের বসতবাড়িতে বসবাসরত লোকজন ও সড়কের পাশের দোকানঘর। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ ওই সড়কে যাতায়াত করা পথচারী ও যানবাহন যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবহন চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লার শাসনগাছা থেকে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ওঠা কুমিল্লা-মিরপুর সড়কটির দুইপাশে দাঁড়িয়ে আছে অগণিত মৃত, অর্ধমৃত ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ওই সড়কের দুই পাশে লাগানো কড়ই ও শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ মারা গেছে অনেকদিন আগেই। এসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছে সড়কের পাশের দোকানঘর, বসতবাড়ি, পথচারী ও ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন। এসব মরা গাছগুলো কেটে নিয়ে এসব স্থানে নতুন করে গাছের চারা রোপণের কথা বলছেন স্থানীয়রা।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সিএনজি চালক শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে সড়কের পাশের গাছগুলো মরে গেছে। এসব গাছ বাতাসে প্রায়ই রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও মাঝে মাঝে ঘটে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই এসব মরা গাছ অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
এই ব্যপারে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার দায়িত্বে থাকা উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের মরা গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে। আশা করছি শিগগিরই সড়কের মরা গাছগুলো কেটে নেওয়া সম্ভব হবে এবং মরা গাছের জায়গায় নতুন করে গাছের চারা রোপণের উদ্যোগও নেওয়া হবে।’