কুমিল্লা জেলায় গত আগষ্ট মাসে ৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনে ঘটনায় মামলা হয়েছে ২১টি,এর মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ১০টি। জেলায় বিভিন্ন অপরাধে আগষ্ট মাসে মোট মামলা হয়েছে ৪৪৯টি, এর মধ্যে মাদক
দ্রব্য আইনে মামলা ২৫৮টি। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপিত অপরাধচিত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লার বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেন।
কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসন্ন শরদীয় দূর্গোৎসব নিয়ে সবাইকে যার যার অবস্থানে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। জেলায় কোন কোন স্থানে পূজা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেসব স্থানে প্রতিমা তৈরী হচ্ছে সে জায়গা গুলোতে নিয়মিত পর্যবেক্ষন করা হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপ যেন সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয় সে ব্যাপারে পূজা উদযাপন
কমিটি ও সংশ্লিস্টদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সভায় খুব অল্প সময়ে মধ্যে প্রতিটি উপজেলা সম্প্রীতি কমিটির সভা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়। বিভিন্ন উপজেলায় বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ড নির্ধারিত স্থান থেকে পরিচালন এবং এসব জায়গা থেকে চাঁদাবাজি বন্ধেরও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কুমিল্লায় পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষেরন ভোগান্তি নিরসনে দুইটি এ্যাপ্লিকেশন প্রসেসিং সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিকাল বেলা স্কুলের মাঠগুলো খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত রাখতে জেলা শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সভায় জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে উৎসবমুখর রাখতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী শুধু মহানগর বা শহরের প্রতি দৃষ্টি দিবে না, বরং প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিটি পূজামণ্ডপের বিষয়ে খেয়াল রাখবে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার যে প্রবনতা’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে অবহিত করতে হবে। কোন সমস্যার কারণে যদি একটি খুন হয়ে যায় তারপর আসাামি গ্রেপ্তার করার চেয়ে আমরা সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি আগে থেকেই সেসব সমস্যা
নিরসনে এগিয়ে আসি তাহলে বিষয়গুলে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হবে।