কুমিল্লার দেবীদ্বারে পৃথক দু’টি সড়ক দূর্ঘটনায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মী নিহত ও নার্সসহ আরো ৫ জন আহত হয়েছে।
দূর্ঘটনা দু’টি সংঘঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ও রাত পৌনে ৮ টায় কুমিল্লা- সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার পৌরসভার বারেরা এলাকায়। দূর্ঘটনায় নিহত স্বামী পরিত্যাক্তা রানু বেগম (৪০) উপজেলার চরবাকর গ্রামের সুন্দর আলীর কণ্যা। সে দেবীদ্বার সততা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং দেবীদ্বার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের পাশে ভাড়া বাসায় ২ শিশু পুত্র নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দেবীদ্বার সততা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হাসপালের অভ্যর্থনা কর্মী রানু বেগম (৪০) ও একই হাসপাতালের সেবীকা সামন্তা (১৮)সহ ২ বান্ধবী বারেরা ‘স্বাদের টং রেস্টুরেন্ট’ থেকে নাস্তা খেয়ে অটোরিক্সা যোগে কর্মস্থলে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহাসড়কের বারেরা বৌচ্ছামুড়ার পাশে পৌঁছার পর কুমিল্লাগামী ‘রয়েল সুপার’ সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখমোখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই রানু বেগম নিহত হন। অপর যাত্রী একই হাসপাতালের নার্স (সেবিকা) উপজেলার মাশিকাড়া গ্রামের সামন্তা ও বারেরা গ্রামের মালু মিস্ত্রির পুত্র অটোচালক আবুল কালাম(৩০) মারাত্মক আহত হন।
অপর দূর্ঘটনাটি ঘটে রাত পৌনে ৮টায় বুড়িচং উপজেলার কংশনগর দাওয়াতখেয়ে দু’বন্ধু মোটর সাইকেলযোগে দেবীদ্বার আসার পথে বারেরা ফুলগাছতলার কাছে একজন পথচারীকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়েন। এ দূর্ঘটনায় আহতরা হলেন, মোটর সাইকেল চালক উপজেলার বুড়িরপাড় গ্রামের মোস্তফার পুত্র এমরান হোসেন(২০) এবং অপর মোটর সাইকেল আরোহী ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার লাড়ুচর গ্রামের আলী আজ্জমের পুত্র মানিক (১৯), এরা দু’জনই জাফরগঞ্জ মীর আব্দুল গফুর কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অপর পথচারী জাভেদ(২৮) উপজেলার খলিলপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র, সে প্রাণ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি। পৃথক দু’টি দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত ৫ জনকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ বিষয়ে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মো. মঞ্জুরুল আফসার বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টায় জানান, সংবাদ পেয়ে একটি পুলিশ টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দূঘটনায় কবলিত অটোরিক্সা ও বাস জব্দ করেছি। নিহতার মরদেহ উদ্ধার করে থানার লাশঘরে রাখা হয়েছে, আগামীকাল (শুক্রবার) ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।