কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সোহেল রানাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ (সোমবার) বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিদায় ও এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ইউএনও সোহেল রানা ও তাঁর সহধর্মিণী উপজেলা লেডিস্ ক্লাবের সভাপতি ফাহিমা নাসরিনকে ফুলেল শুভেচছা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইদ্রিস মিয়া মাস্টার।
মালাপাড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গনী ভূইয়া’র সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন । সাবেক যুগ্ম সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুল বাতেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নুরুল ইসলাম, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ছিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নোয়াব মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম খান।
এছাড়া, বীর প্রতীক রবিউল্লাহ, বীর বিক্রম আবদুল বারেক, বীর প্রতীক মকবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম পুলিশ, দুলালপুর ইউনিয়ন মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার মো. রমিজ উদ্দিন, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফুলমিয়া সরকার, সাহেবাবাদ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, মাধবপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, চান্দলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নান্নু বেগ, শিদলাই ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আহাম্মদ মাস্টার, শশীদল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার ফজলুল হক পেরা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, রহমত আলী সরকার, আবুল হাশেম প্রমূখসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, সোহেল রানা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি ব্রাহ্মণপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যার কথা শুনলে ইউএনও সোহেল রানা রাত বিরাতে ওই মুক্তিযোদ্ধার কাছে ছুটে গেছেন। তাঁর ও তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ এই বিদায়ী ইউএনও সোহেল রানাকে আজীবন স্মরণ রাখবে।