কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি ন্যায্যমূল্যের ঔষধের দোকান বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে দোকানের স্বত্বাধিকারী মোঃ গোলাম মহিউদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার(২১ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় দাউদকান্দি উপজেলা সদরের নিরিবিলি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালে ১মে তিন বছরের জন্য ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান (ফার্মেসি) দরপত্রের মাধ্যমে পেয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে রি-টেন্ডারের মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দেই এবং দোকানের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে আসছি এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন ২০১৩ সালের দরপত্র অনুযায়ী চান্দিনা,মুরাদনগর, দেবিদ্বার,কুমিল্লার কুচাইতলী হাসপাতাল ও বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান চালু থাকলেও শুধু আমার ফার্মেসি আইনের দোহাই দেয়া হচ্ছে কেন। এছাড়া টেন্ডারের জামানতের এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত না দিয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির সহায়তা কামনা করেন। উল্লেখ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের ঔষধ এর প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাহিরের সকল দোকান রাত ১০টায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কোথাও ঔষধ না পেলেও সরকারী ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে ২৪ ঘন্টা ঔষধ ক্রয় করতো রোগীরা। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ন্যায্য মূল্যের ঔষধের,এই দোকানটি বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আগত রোগীরা। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল আল হাসান গণমাধ্যমকে জানান,কোন উপজেলায় কি প্রক্রিয়ায় সরকারি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা আছে তা আমার জানার বিষয় না। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সরকারি ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানটির নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার অনুমোদন না থাকায় এর কোন বৈধতা নেই। আপনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় দুই বছর রয়েছেন আরো আগে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এরিয়ে গিয়ে,কোন মন্তব্য করতে পারবো না বলে কুমিল্লা সিভিল সার্জন এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলার কথা বলে ফোন কেটে দেন।