ব্রিজটির বিভিন্ন স্থানের জয়েন্ট ছুটে যাওয়ায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সিড়ি বাঁকা হয়ে যাওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে চলাচল করলেও উপরে ছাউনি’র ব্যবস্থা না থাকায় ব্রিজটি মরিচা ধরে পাতলা হয়ে যাচ্ছে । আর এই বর্ষাতে সেগুলো সামান্য বৃষ্টিতে হয়ে যায় স্যাঁতস্যাঁতে। তাতে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের পরতে হচ্ছে চরম বিপাকে। ব্যবহারকারীর তুলনায় ফুটওভার ব্রিজটি কিছুটা প্রশস্ত কম হলেও ব্রিজটির উপর দোকানপাট বসায় পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পথচারীরা।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভারব্রিজটি নিয়মিত ব্যবহার করেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম বাবু । তিনি জানান, কষ্ট হলেও ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পারাপার হই। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ফুটওভার ব্রিজ দিয়েই চলাচল করতে এখন আরও বেশি ভয় লাগে। গুরুত্বপূর্ণ এই ফুটওভার ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দ্রুত ফুটওভার ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ফুটওভার ব্রিজে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় চুরি-ছিনতাই এর ঘটনা ঘটছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ফুটওভার ব্রিজটি নিয়মিত ব্যবহারকারী আরিফুর রহমান জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ। উপরে ছাউনি না থাকায় বৃষ্টিতে সিঁড়িগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনার শংকা বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য এটি বিপদজনক।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু জানান, এই ফুটওভার ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন সদর দক্ষিণ উপজেলা সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাজারো মানুষ চলাচল করে।
সওজ কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত ফুটওভার ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ফুটওভার ব্রিজটি খুব শীগ্রই সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি এটিতে ছাউনি যুক্ত করা হবে।