লালমাই খোরশেদ হত্যা মামলার পলাতক ফাহিম(২৮) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফাহিম (২৮) কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পালপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম(৫৫) হত্যা মামলার এজারহারভুক্ত আসামি।
(২৮ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমাই থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা বিআরটিএ কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে।গ্রেফতারকৃত ফাহিম উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের সাব্বির আহমেদের ছেলে। তিনি কুমিল্লা বিআরটিএ অফিসের ফিঙ্গার সেকসনে মাষ্টার রুলে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি করেন। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম ও জসিম উদ্দিনের সাথে জমি বিক্রয় নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের সাব্বির আহমেদের। গত ৫ আগষ্ট বিকেলে দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতার সুযোগে সাব্বির আহমেদ তার সঙ্গীয়দের নিয়ে দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে খোরশেদ আলম ও জসিম উদ্দিনের উপর হামলা করে। হামলাকারীরা খোলশেদ আলমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশি সহায়তা না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে নিহতের পরিবার।
গত ২৯ আগষ্ট কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯নং আমলী আদালতে এজাহারভুক্ত ৪জনসহ ১৪জনের বিরুদ্ধে হত্যার অপরাধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন (২৮)। আদালতের নির্দেশে গত ২২ অক্টোবর লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটি এফআইআর করেন।
মামলার এজারহারভুক্ত আসামীরা হলেন: পালপাড়া গ্রামের মৃত মাওলানা ছালামত উল্যাহ একরামির ছেলে সাব্বির আহমেদ (৫৫), তার ছেলে ফাহিম (২৮), মৃত মোস্তফার ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩) ও আবদুর রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪)।
নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অনেকদিন ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। পুলিশ আজকে এজাহারভুক্ত ৩নং আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ১ ও ২নং সহ অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করা জরুরি।আসামিরা এলাকায় থাকায় আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম বলেন, খোরশেদ আলম হত্যা মামলার এজারহারভুক্ত আসামী ফাহিমকে তার কর্মস্থল কুমিল্লা বিআরটিএ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ উত্তোলন করার প্রক্রিয়া চলছে।