কুমিল্লার লালমাইয়ে চার মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মো. খোরশেদ আলম (৪৪) নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ পালপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবর থেকে তার লাশটি তোলা হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল নূর আশেকের উপস্থিতে এবং লালমাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে নিজ বাড়ির পাশেই দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন স্থানীয় মৃত তোরাব আলীর ছেলে খোরশেদ আলম। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর পুলিশি সহায়তা না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেয় আদালত।
নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, আমার নিরপরাধ বাবাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে রেখে চারমাস হলো। তদন্তের স্বার্থে আজ বাবার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানাই এবং হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লালমাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে