শখের বশে মানুষ কতো কিছুই না করে। খরচ করে লাখ লাখ টাকা। মানুষ ভেদে সৌখিনতাও হয় ভিন্ন ভিন্ন। আবার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে শখের ধরনও হয় আলাদা আলাদা।
বৃহস্পতিবার (২১ শে সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় তেমনি এক শৌখিন মানুষ নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং এলাকাবাসীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ এলাকায় আসেন কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শৈলখালী গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে সৌদি প্রবাসী আবুল কাসেম খাঁন। তার সাথে আসেন তার কফিল আব্দুল বাতেন।
এবার তার বাড়ির ফেরার গল্পটি সিনেমার মতোই। হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাকে দেখার জন্য।
আজ সকাল ১০টায় মুগগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরী হেলিপ্যাড। দল বেঁধে স্কুল শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর জনসমাগম। মুগগাঁও গ্রামে আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী ও শিশু তাকিয়ে আকাশের দিকে। সে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসলেন শৈলখালী গ্রামের প্রবাসী আবুল কাসেম খাঁন ও তার কফিল আব্দুল বাতেন। হৈ চৈ পড়ে গেল পুরো এলাকায়।
প্রবাসী আবুল কাসেম খাঁনের কফিল আব্দুল বাতেন বাংলাদেশ ঘুরতে আসেন, তিনি ৫দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। তার গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ভালো লাগে। তিনি আরও কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। সৌদি আরবের জোবায়েল শহরের নাগরিক আব্দুল বাতেন তিনি একজন ব্যবসায়িক।
প্রবাসী আবুল কাসেম খাঁন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসী। আমার নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রমীভাবে বাড়ি ফিরি।
সৌদিআরবের নাগরিক আব্দুল বাতেন বলেন, আমি বাংলাদেশে কয়েকবার এসেছি। বাংলাদেশ আমার পছন্দের একটি দেশ। ঘুরাফেরা জন্য এবং গ্রাম বাংলা ঐতিহ্য দেখার জন্য এই দেশে আসি। নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি আমি আমার সাধ্য মোতাবেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, ভাউকসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমেদ জামাল মাসুদ, ইউপি সদস্য সালামত উল্ল্যাহ, ভাউকসার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়িক মাসুদ রানা, প্রবাসী জামাল হোসেন, আজাদ রহমান, ছাত্রনেতা আবু আসলাম নিশাত সহ শৈলখালী, মুগগাঁও ও চৌত্তাপুকুরিয়া গ্রামবাসী।
নিরাপত্তা দায়িত্ব হিসাবে নিয়োজিত ছিলো বরুড়া থানা এসআই জাহিদ দেওয়ান, কনস্টেবল আনোয়ার, আরমান ও গ্রাম পুলিশ।