কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন ও দিন মজুর বাবুর স্বজনরা দাউদকান্দি মডেল থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
দুই মামলায় দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমনকে প্রধান আসামি করে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাতে ওসি (তদন্ত) মো. শহিদুল্লাহ জানান, নিহত শিক্ষার্থী রিফাত হোসেনের মামা আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকালে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে একইদিন নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশী লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, দু’টি হত্যা মামলায় দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান পৌরসভার মেয়রসহ আরও জনপ্রতিনিধির নাম রয়েছে। যাদের মধ্যে পৌরসভার কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শহিদনগরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় আন্দোলনকারী রিফাত(১৬) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন । ওদিন রাতেই রিফাত মারা যায়। রিফাত বারপাড়া ইউনিয়নের সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
পরদিন সোমবার (৫আগষ্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বিকেলে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে তুজারভাঙ্গা গ্রামের মো.বাবু মিয়া(২৩)গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত বাবু ওই গ্রামের অটোরিকশা চালক আব্দুল মান্নানের ছেলে। বাবু দিনমজুরের কাজ করতেন।