কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনতাই ঘটনায় ছিনতাই হওয়া আসামী কাজী এমদাদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার (২০আগস্ট) দুপুরে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিশাত জাহান চৌধুরী আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত বাদী ও আসামীপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
জানা গেছে,২০২১সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাফর ইকবালের প্রচারণাবাহী সিএনজিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ঔই প্রচারনাকারীকে কুপিয়ে জখম করে। কনকাপৈত ইউনিয়নের আবদুল্লাহ আল ফরিদ বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় এমদাদ সহ ২০ জনকে আসামী করে জিআর ৫২৮/২১ নং মামলা দায়ের করে।এই মামলার সহ ৩ টি মামলার আসামী কাজী এমদাদ দীর্ঘদিন পালাতক ছিল।গত বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে কাজী এমদাদ ওই ইউনিয়নের চন্দ্রপুর নামকস্থানে অবস্থান করছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে কাজী এমদাদকে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়ে আসার সময় করপাটি এলাকায় পৌঁছলে আসামীর বড় ভাই কাজী ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলযোগে এসে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আসামীকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। হামলায় ৩ পুলিশ সহ চারজন আহত হয়।
রবিবার সকালে আসামীরপক্ষের আইনজীবী মাধ্যমে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে জিআর ৫২৮/২১মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। বাদী ও আসামী পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আসামী কাজী এমদাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গ-হাঙ্গামা ও আইসিটিরসহ মোট তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। আলোচিত পুলিশের উপর হামলার অভিযুক্ত।
চৌদ্দগ্রাম থানায় অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন কাজী এমদাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গ-হাঙ্গামা ও আইসিটিরসহ মোট তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। আলোচিত পুলিশের উপর হামলার অভিযুক্ত। রবিবার আদালতে জিআর ৫২৮/২১ মামলার আত্নসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়।