কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের কাদবা গ্রামের ইউসুফ মৎস্য খামারের ৬টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে লাখ-লাখ টাকা ঋণ করে মাছের চাষ করা খামারি ইউসুফ মিয়ার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। খামারি ইউসুফ মিয়া কাদবা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। বন্যায় তার পুকুর গুলো থেকে অন্তত ২৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে দাবি খামারি ইউসুফের। ক্ষতিগ্রস্থ ওই খামারির এখনো কোন খবর নেয়নি উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোন কর্তাব্যক্তি। ইউসুফের এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা কামনা করেন খামারি ও স্থানীয়রা।
খামারি ইউসুফ মিয়া বলেন, আমি ধারদেনা করে ৬টি পকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করছি। আগামী ১৫দিন পর মাছ গুলো বিক্রি করার কথা ছিলো। এমতাবস্থায় অকষ্মিক বন্যায় আমার সবকটি পুকুরের ২৫লাখ টাকার মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। আমি এখন পথের ভিখারি হয়ে গেছি, কিভাবে আমি মানুষের এ ঋণের টাকা পরিষদ করবো? আমি সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করছি।
স্থানীয় সমাজ সেবক মাস্টার শামছুল হক ও কামাল হোসেন বলেন, ইউসুফ অনেক কষ্ট করে এ পুকুর গুলো চাষ করে আসছে। মাছ চাষে বিনিয়োগ করা অধিকাংশ টাকাই মানুষের কাছ থেকে লাভের উপর নেয়া। বন্যায় মাছ গুলো ভেসে যাওয়ায় এখন সে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য সহযোগীতা কামনা করছি।
স্থানীয় মৎস্য খাদ্য ব্যবসায়ী মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, আমর নিকট থেকে সে বাকি-নগদে মাছের খাদ্য নিয়ে মাছের খামার পরিচালনা করতো। কয়েকদিনের মধ্যে তার মাছ গুলো বিক্রি করার কথা ছিলো। বন্যায় তার সব মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। খাদ্য কোম্পানি গুলো খামারিদের এ দুর্যোগে কোন সহযোগীতা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন কোম্পানি লাভ করতে এসেছে, তার ক্ষতি তাকেই বহন করতে হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা লিখিত ভাবে আবেদন করলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।