কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে ব্যক্তি অর্থায়নে কালর্ভাট নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ড্রেন নির্মাণ করায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক ভোরের সূর্যোদয় পত্রিকায় “মুরাদনগরে কালভার্ট করার অনুমতি নিয়ে খাল দখলের পাঁয়তারা” এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে কালভার্ট নির্মানকাজ ও খালটি পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: কাবিরুল ইসলাম খাঁন। এসময় তিনি এ খালটি নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সাথে কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঞা জনী, উপজেলা প্রকৌশলী রায়হান আলম চৌধুরী, মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী তুফরীজ এটন, কানুনগো মো: সেলিম, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম আরিফ, সার্ভেয়ার মো: শরিফ প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, মন্দিরে যাতায়াতের বিষয়ে ওই এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে বক্স করে ড্রেন নির্মানের বিষয়টি আমরা অবগত ছিলাম না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: কাবিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, দৈনিক ভোরের সূর্যোদয়ে প্রকাশিত সংবাদটি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। খালটি পরিদর্শন করেছি। খাল দখল করে বক্স-ড্রেন নির্মানের কাজটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিগ্রই খালের দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটি খনন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা সদরের গোলকশাহর বাড়ীর পাশে মুরাদনগর-হোমনা সড়কের সাথে ১নং খাস ক্ষতিয়ানের মুরাদনগর মৌজার ৯৬৪৩ নং দাগের একটি সরকারি খালের চারপাশে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে খালটি ভরাট করে নাম মাত্র প্রায় ৫০ ফুট লম্বা খালের অংশ দখল করে ড্রেন নির্মান করছিলেন প্রণবেশ রায় নামের এক ব্যক্তি।