কুমিল্লার দেবীদ্বারে মাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার একদিন পর ষাটোর্ধ বয়সী মোখলেসুর রহমান নামে এক কৃষকের গলাকাটা লাশ মিলল মৎস খামারে।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (০২ জুন) বিকেলে দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের সুয়া মিয়া মাজার সংলগ্ন আনোয়ারের মাছের প্রজেক্টের একটি পুকুরে। নিহত মোখলেসুর রহমান(৬৫) ধামতী চৌধূরী পাড়ার মৃত: সামসুল হকের পুত্র। পেশায় তিনি একজন কৃষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মোখলেসুর রহমান গতকাল (শনিবার) বিকেলে সুয়া মিয়া মাাঝারে যাওয়া কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। আজ বিকেলে কন্ঠনালী কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আনোয়ারের মৎস প্রজেক্টের একটি পুকুরের পাড়ে মৃত:অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহববুর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের ছেলে মনির হোসেন জানান, তার পিতা মানষিক ভারসাম্যহীন ছিল। গতকাল সুয়া মিয়ার মাঝারে যাওয়ার কথা বলে রাতে আর ঘরে ফিরেনি। আজ বিকেলে তার মরদেহ একটি মাছের খামারে পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, এর আগে গত এক মাস ধরে কয়েকবার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তার কোন শত্রু ছিলনা।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নয়ন মিয়া জানান, নিহত ব্যাক্তির মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। লাশের পাশে একটি বিষের বোতল ও একটি ব্লেড পাওয়া গেছে। তার কন্ঠনালীটাতে সামান্য কাটা চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এবং ব্লেড দিয়ে নিজের কন্ঠনালী নিজেই কাটার চেষ্টা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের লোকজনেরও ধারনা সে আত্মহত্যা করেছে। কারন এর আগেও সে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের পরই নিশ্চিত হতে পারব ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।