কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার পৌরসভার বিভিন্ন অংশে খানাখন্দে ভরপুর ।ভোগান্তিতে যান ও মাল পরিবহনসহ পথচারীরা।
শুষ্ক মৌসুমে সড়কজুড়ে ধুলাবালি, আর বর্ষায় থাকে কাদাপানি। খানাখন্দে যানবাহন আটকে পড়ে যানজট তো এখন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে বিটুমিনসহ পিচঢালাই উঠে গেছে, কোথাও সড়ক দেবে গেছে। আবার কোথাও চার লেন সড়কের কাজের জন্য সড়ক বন্ধ করে চলছে গাছকাটা।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, দ্রুত সংস্কার করা না হলে এবং সড়কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হলে, স্কুল- কলেজ, অফিসগামী মানুষের এবং দূপাল্লার যানবাহনের ভোগান্তি আরও বাড়াবে, দিনে দিনে ছোট গর্ত বড় হয়ে এ সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে দেবীদ্বার পৌর এলাকার নিউমার্কেট, মাটিয়া মসজিদ, আজগর আলী মূন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলগাছ তলা, বারেরা এলাকায় সড়কে ছোট-বড় গর্ত দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় এসব গর্তে পানি জমে আছে সড়কজুড়ে। সড়কের দুই পাশে পানি বেশি থাকায় গাড়িগুলো এক সারিতে সড়কের মাঝ দিয়ে চলছে। মাঝেমধ্যে কোনো ট্রাক এলে চাকার চাপে চারপাশে ছিটকে পথচারীদের গায়ে পড়ছে নোংরা পানি।
অপরদিকে সওজের জায়গা দখল করে সড়কের দু’পাশ জুড়ে রয়েছে অবৈধ স্থাপনা, করাত কলের কাঠের স্তুপ, পরিত্যাক্ত ট্রাক্টর, বর্জসহ নানা সামগ্রী রেখে সাধারন মানুষ চলাচলের কোন ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ফুটপাত হকারদের দখলে, অধিকাংশ দোকান ও বিপণী প্রতিষ্ঠানের সামনের অংশ খানাখন্দ, গর্ত এবং জেনারেটর মেসিন বসিয়ে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও শত শত অটোরিক্সা ও সিএনজি দখলে থাকে পুরো সড়ক, ফুটপাতে গড়ে তুলেছে অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড। দৈনিক বাজার ইজারাদারের দখলে মূল সড়কের অংশ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের প্রধান ফটক ও এর আশপাশে সিএনজি ষ্ট্যান্ড, টঙ দোকান, নানা পর্ষদ নিয়ে হকারদের দখলে থাকায়। জরুরী রোগী নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশে পড়তে হচ্ছে বিড়াম্বনায়। পথচারীদের চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তী।
ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের চালক আলী হোসেন বলেন, ‘দুর্ভোগ নিয়েই আমাদের এই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এই ভোগান্তি যে কবে শেষ হবে?’ মীরপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষথেকে ক্ষোভের সাথে জানানো হয় সড়কের খানাখন্দ ও বেহাল অবস্থায় আমাদের রাত-দিন যোগাযোগে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে সওজ গৌরীপুর আঞ্চলিক প্রকৌশলী মেহাম্মদ সফিকুর রহমান জানান, আমাদের লোকজন কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের দেবীদ্বার অংশে সড়ক সংস্কারে কাজ করছেন। সরেজমিনে আপনাদের কোনো লোককে তো কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিচ্ছি, আজ না হলে আগামীকাল লোকজন পাঠাব।