দেবীদ্বারে অপহরনের পর ব্যবসায়ি আবু সায়েম সরকার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে আসামী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলমের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা ৪ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার (জিআর মামলা নং- ৭৬/২৪) রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতার হওয়া আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানী শেষে জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মো. বদিউল আলম এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মো. হারুন-অর-রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে একদল সন্ত্রাসী দিয়ে আবু সায়েম সরকার (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দেবীদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ও তার ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন। অপহরনের পর রাত পৌনে ২টায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলে আবু সায়েমের লাশ। এ ঘটনায় ওই সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমকে রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত সায়েম উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের চাষারপাড় গ্রামের আবদুর রহিম সরকারের ছেলে এবং দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান ভূইয়ার মেয়ের জামাতা।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আবু কাউছার বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম(৬০), তার পুত্র মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন(৩৬), দেবীদ্বার ডোন এলাকার মো. মোস্তফা(৩৫), গুনাইঘর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র মিন্টু (৪০)সহ ৪জনকে এজহার নামীয় এবং ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।