সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে দাউদকান্দি মডেল থানার আয়োজনে থানা চত্তরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার এনায়েত কবীর সোয়েবের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মান্নান। সভাটি সঞ্চালনা করেন, মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার রওশন জাহান। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডি,এস,বি) মতিয়ার রহমান ও পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন।
প্রধান অতিথি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখার উপর জোর দিয়ে বলেন, পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মের নিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি সবার সহযোগিতায় শারদীয় দূর্গা পূজাকে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার আহবান জানান।
শারদীয় দূর্গা পূজ নির্বিঘ্ন করতে মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মন্দির কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও মসজিদের ইমাম-খতিবরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, অতীতের মতই সব সময় দাউদকান্দিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত থাকবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব চৌধুরী,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দাউদকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি বাসুদেব ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক প্রাণ কৃষ্ণ আচার্য প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মোজাম্মেল হক,গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ, সুশীল সমাজ, স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর দাউদকান্দি উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে মোট ৪৮ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হতে যাচ্ছে এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব শেষ হবে।