কুমিল্লার মুরাদনগরে ছাগলে গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত যুবকের লাশ পরে আছে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায়। থামছেনা স্বজনদের আহাজারি।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টায় মোঃ বিল্লাল হোসেন নামে এক যুবককে নিহতের ভাবী রীনা আক্তার ও ভাগ্নি সুমি আক্তার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুমাইয়া আক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, বিল্লাল হোসেন ঘটনার দু’দিন আগে ঘরের আঙ্গীনায় কিছু কাঠালের চারা রোপন করেন। আজ সকালে গাছগুলো ছাগলে খেয়ে ফেলায় বিল্লাল হোসেন গালমন্দ করলে পার্শ্ববর্তী মনসুর আলীর ছেলে কালন সহ কয়েকজন বিল্লালের বাড়িতে আসে। পরে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বিল্লাল হোসেন, আইয়ুব আলী ও কালন সহ দুপক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন মারা গেছে। অন্যান্যদের দেবীদ্বার, মুরাদনগর ও কুমেক হাসপতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পূর্বধৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের এলখাল গ্রামে। নিহত যুবক বিল্লাল হোসেন সরকার (৪২) এলখাল গ্রামের মৃত: ইসমাইল সরকারের ছেলে। বিল্লাল হোসেন পেশায় একজন কৃষক। তার ২ ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিল্লালের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, পার্শ্ববর্তী মোল্লাবাড়ির মনছুর আলীর ছেলে কালনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্র রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে তার ছেলে সহ কয়েকজন মিলে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বেরক মারধর শুরু করে। কালনের হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার স্বামী বিল্লাল’কে কোপ দিলে সে মাটিতে পরে যায়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, আমি এখন ঘটনাস্থলে আছি। এবিষয়ে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।