কুমিল্লায় সাংবাদিক মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় মোঃ মনিরুজ্জামান মুন্সীর দায়ের করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতে ফারহানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল ‘মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প কাগজে আছে, বাস্তবে নেই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে আওয়ামীলীগের এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন নেতা ক্ষুব্ধ হন। পরে ২ মে কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন কাজিয়াতল গ্রামের ও কাজিয়াতল মাদ্রাসার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মনিরুজ্জামান মুন্সী। এই মামলায় মিজানুর রহমান নামে আরও একজনকেও আসামি করা হয়। তাকেও এ মামলা থেকে খালাস দেন বিচারক।
দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল ও এডভোকেট নুরে আলম। এর আগেও সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, নারীনির্যাতনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করলেও এসব মিথ্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে। আদালতের বিচারক এ মামলার তদন্তে ত্রুটি ও স্বাক্ষ্য প্রমান না থাকায় এ মামলা থেকে তাকেসহ অপর আসামীকে অব্যাহতি দেন।
সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর মা ফরিদা বেগম এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ছেলে মুরাদনগরের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও তার নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে হয়রানি করে যাচ্ছে।