রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হরতালের সমর্থনে দেওয়া মিছিলটি কুমিল্লা নগরীর চকবাজার ডাচ বাংলা ব্যাংকের কাছে গেলে পথরোধ করে পুলিশ। এ সময় টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানায়, নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। রবিবার সকালে দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় নিমতলী এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি। মিছিলটি নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয় হয়ে রাজগঞ্জ হয়ে চকবাজার পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সম প্রথমে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে লাঠিচার্জ করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আহত হন অন্তত ২০ জন। এরপর নগরীর সবকটি পথ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।মিছিলে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আক্কাস, সদস্যসচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ অনেকে।
হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, হরতালের সমর্থনে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলটি নগরীর চকবাজার যাওয়া মাত্র পুলিশ অতর্কিত লাঠিপেটা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি করে। এ সময় আমাদের কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আক্কাসসহ ১২ জনকে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়ার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো.আব্দুল মান্নান বলেন, জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্নিত হয় এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না। হরতালের নামে নৈরাজ্য করতে এলে কাউকে সহ্য করা হবে না। আজকের ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।
সাবেক কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে কয়েক'শ গাড়ি ও হাজারো সমর্থক নিয়ে লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজার হতে সদর দক্ষিণ হয়ে...
Read more