কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা নেওয়ার পর মারা যায় আরও দুইজন। দূর্ঘটনা দুটি ঘটেছে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জের দৌলতপুর ও আমিরাবাদ-সাচার সড়কের মহানন্দ নামক স্থানে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার(৭ ডিসেম্বর)সকালে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দৌলতপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফিডার সড়ক থেকে উঠার সময় সিএনজিকে ঢাকাগামী অনির্বাণ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ডলি আক্তার (৩০) নামে এক নারী মারা যায়। আহত যাত্রী ও চালকদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুরের দিকে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন– জিয়ানা আক্তার (১১) ও সালেহা বেগম (৬০) তারা সবাই ইলিয়টগঞ্জের বাশরা গ্রামের বাসিন্দা।
অপর দূর্ঘটনায় আমিরাবাদ-সাচার সড়কের মহানন্দ এলাকায় আল আরাফা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ইট বোঝাই একটি ট্রাক্টরকে চাপ দিলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়৷
এতে ট্রাক্টরে থাকা দুইজন ইট শ্রমিক
ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতরা হলেন, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের হাটচান্দিনা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বোরহান উদ্দিন(১৮), জামালপুর সদর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ আলী ওরফে সোহেল(৩৫)৷
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শিলা বলেন, সকালে মহানন্দ এলাকার দুর্ঘটনায় দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আর দৌলতপুরে সিএনজি দুর্ঘটনায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম এবং ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেন,সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। নিহত ডলির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। কিন্তু বাকি দুজন মারা গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে আছে৷