নিহত গৃহবধূর ১৭ মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত গৃহবধূ আঁখি আক্তারের দুই বছর আগে সাইদুল ইসলাম মেন্টুর (৪০) সঙ্গে বিয়ে হয়। আঁখি আক্তারকে তার বাবা-মা পালক এনে বড় করে তার কাছে বিয়ে দেন। বিয়ের পরপরই ঘাতক স্বামী সাইদুল ইসলাম মেন্টু যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন।
আজ সকালে শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করেছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এদিকে নিহত গৃহবধূর মা রেহেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্তান নেই, পালক এনে আঁখিকে অনেক আদর-যত্ন করে বড় করেছি। অনেক টাকার মালামাল দিয়ে বিয়ে দিয়েছি।
বিয়ের পর কিছুদিন ভালো ছিল। একটা পুত্র সন্তানও হয়েছে। মেন্টু নেশার জগতে গিয়ে যৌতুকের জন্য প্রায়ই আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। শেষমেশ যৌতুকের জন্য আমার মেয়েটাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলছে রে বাবা।’ কথাগুলো বলেই কাঁদতে শুরু করেন।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, গৃহবধূ আঁখি আক্তার হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।