পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির কার্যক্রম পরিচালনাকালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পশুর শিংয়ের গুঁতা, লাথি কিংবা ধারালো ছুরির আঘাতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে রাত ৯টা পর্যন্ত পশু কোরবানি কার্যক্রমের সময় তারা আহত হন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শঙ্খজিৎ সমাজপতি।
আহতরা হলেন, উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. ইমন (২২), একই ইউনিয়নের সাজঘর এলাকার শহীদ মাস্টারের ছেলে মো. মহিবুল্লাহ (৪০), দুলালপুর ইউনিয়নের বেজুরা এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন (২৯), একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. আরিফ (১৫), একই ইউনিয়নের বালিনা এলাকার হিরণ মিয়ার ছেলে মো. সাফায়েত (১১) শিদলাই ইউনিয়ন শিদলাই এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. সোলাইমান (৪৫), একই ইউনিয়নের পূর্ব পুমকারা এলাকার মৃত হরমুজ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫), সদর ইউনিয়নের নাইঘর এলাকার মো. বাছির মিয়ার ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩৫), একই ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. আল আমিন (৩০) ও চান্দলা ইউনিয়নের ছোটধুশিয়া এলাকার মো. এনামুল হকের ছেলে মো. নাঈম (১৭)বরদোশিয়া এলাকার আবদুল সোবহান ছেলে মোঃ মাজু মিয়া (৩০)
জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানির কার্যক্রম পরিচালনাকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুর লাথি, শিংয়ের গুঁতো ও মাংস কাটাকাটির সময় ধারালো ছুরির আঘাতে আহত হন তারা।
আহতরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে আহত মো. সোলাইমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে পশু জবাইকালে পশুর আঘাতে ও পশুর মাংস কাটাকাটির সময় ধারালো ছুরির আঘাতে ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তবে এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।