কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
১২ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৩টায় চান্দিনার হাড়িখোলা এলাকা হতে মানব পাচার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চান্দিনার মৃত. খলিলুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫২) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ সিহাব হোসেন (১৯), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের মোজাম্মেল হকের ছেলে সুমন মিয়া (২৪)।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার বাসিন্দা আবুল কাশেম আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় তার ছেলে লাজু মিয়াকে (২২) ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে লিবিয়াতে পাঠান। বেশ কয়েক মাস পর তার ছেলে লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে যায়। মানব পাচার চক্রের সদস্যরা তার ছেলেকে আটকে রেখে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করে। উক্ত চক্রের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করে গ্রেফতারকৃত আসামীরা। তারা আবুল কাশেমকে কুমিল্লায় এসে টাকা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। শেষ মেষ আবুল কাশেম ছেলেকে বাচাবার আশায় র্যাব-১১, কুমিল্লা অফিসে এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, কুমিল্লা ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চান্দিনার হাড়িখোলা এলাকায় আসামীরা মুক্তিপনের টাকা নিতে আসলে কৌশলে উক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, তারা সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, তারা ও তাদের সহযোগী আরো পলাতক আসামীরা মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ভিকটিম সংগ্রহ করে তাদেরকে লিবিয়া ও ইতালী প্রেরণের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আটক রেখে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করেছে। মানব পাচার ও মুক্তিপণের অবৈধ অর্থ দিয়ে গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী ও তার ছেলে পলাতক আসামী সাখাওয়াত হোসেন কুমিল্লা, গাজীপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।