বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০ টায় সম্মেলন কক্ষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে জেলা জজ আদালত কুমিল্লার এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি’র আর্থিক সহায়তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়ীত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পটি সারা বাংলাদেশের ন্যায় কুমিল্লা জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত গ্রাম আদালত ব্যবস্থায় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গ্রামের জনসাধারণ বিশেষ করে নারী, দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, ছোট খাট বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে মিমাংসা করার সুযোগ পায়, তারই ধারাবাহিকতায় সরকার গ্রাম আদালতকে সক্রিয়করণের উপর গুরুত্বারোপ করে সংশ্লিষ্ঠ উপস্থিত সকল অংশীজনকে প্রকল্পের ৩য় পর্যায় সম্পর্কে অবহিত ও পরামর্শ গ্রহণ করা। অনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্তার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার ও গ্রাম আদালত ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির কৌশল খুঁজে বের করাই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য। অংশীজনগণ ছোট-খাটো বিভিন্ন বিরোধ-বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষে ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন (২০১৩ সালের সংশোধিত এবং ২০২৪ সালের অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন) অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার নিষ্পত্তির জন্য একাত্মতা প্রকাশ করেন।
উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন নাসরিন জাহান জেলা জজ (ভারপ্রাপ্ত), সাউদ হাসান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ইমাম হাসান যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ, কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ফারহানা নাসরিন সিনিয়র সহকারি কমিশনার (স্থানীয় সরকার বিভাগ)’সহ জেলার সকল দায়রা জজ, ম্যাজিস্ট্রেট, কোট পুলিশ, ২০ টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রকল্প বাস্তবায়নকারি সহযোগী সংস্থা (ইপসা)’র মো: আমিনুর রহমান ও প্রনব কান্তি দাস ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ২ জন উপজেলা সমন্বয়কারি’সহ মোট ৬৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মতবিনিময় সভা পরিচালনা ও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন এডভোকেট মো: তাজুল ইসলাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট ও ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প।