কুমিল্লায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর সাথে সস্পৃক্ত সংস্কৃতিজন নজরুল গবেষক, শিল্পী, আবৃত্তিকার, সংস্কৃতিকর্মী সংগঠক ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধি ও কুমিল্লা সংস্কৃতি অঙ্গন ও সমাজকর্মী বিশিষ্টজন ও অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ঢাকার আয়োজনে কুমিল্লা কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে শনিবার সকাল ১০টায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম, জাতীয় কবি কাজী নজরুলের উপর গবেষনা, নজরুল চর্চা ও করণীয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল, বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী বাংলা সংস্কৃতি বলয় বিশ্ব কমিটির মহাসচিব কাজী মাহতাব সুমন, লেখক ও নজরুল গবেষক পীযূষ কুমার ভট্টাচার্য্য, অধ্যাপক শ্যামা প্রসাদ ভট্টাচার্য্য, কবি ও চিকিৎসক ডাক্তার ইকবাল আনোয়ার, ডাক্তার হারুন অর রশিদ, কালচারাল কমপ্লেক্স কুমিল্লার সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জাকির, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সরকার ও সুমাইয়া আক্তার।বক্তারা সকলেই নজরুল ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম আরো গতিশীল করা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা বলেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সৃষ্টি সংগীত ও অন্যান্য সাহিত্যকর্ম নিয়ে অনেক গবেষনা করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। সাহিত্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কবির অবদান সম্পর্কে সম্মেলন, বক্তৃতা, বিতর্ক ও সেমিনারের আয়োজন করার উপর মত দেন বক্তারা। শিশুদের নিয়ে কবি সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিয়েও মত দেন।
অংশীজনদের মতামত ও বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মতবিনিময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন- বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুল সকল দেশের সকল মানুষের। পৃথিবীর আর কোন মানুষ মানুষের হয়ে উঠতে পারেননি, তিনি বলেন নজরুল কে নিয়ে গবেষণা আরো দরকার, নজরুলের সাহিত্য দর্শন নিয়ে কাজ করতে হবে, বর্তমান প্রজন্মের কাছে নজরুলকে তুলে ধরতে হবে। তনি বলেন কবি নজরুল প্রতিবাদী হওয়ার ব্রিটিশ বাহিনীর রোষানলে পরে বার বার তাকে হয়রানি হতে হয়েছে। তিনি কুমিল্লায় এসেছেন বার বার, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তনি কুমিল্লায় এসেছেন।
তিনি বলেন- নজরুলের সৃষ্টিগুলো ইংরেজী সহ বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশনা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৪০০ গান রেকর্ড করা হয়েছে, গবেষনা এগিয়ে নিতে ঢাকায় নজরুল সরেবর করার উদ্যেগ নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন পাবলিকেশনের কাজ এগিয়ে চলছে, দেশ ও বিদেশ হতে বিভিন্ন প্রকাশনা, গান সংগ্রহ, সংকলন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সকল সাহিত্যকর্ম অনুশীলনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সাহিত্যকর্মের উপর গবেষণা, প্রকাশনা এবং প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংগীত সঠিকভাবে চর্চা ও প্রচারের জন্য স্বরলিপি তৈরি করা হচ্ছে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব রায়হান কাওছার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন। মতবিনিময় শেষে ইনস্টিটিউটের সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য প্রশিক্ষণার্থীরা নজরুল সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে।