এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৭২ জন। ঝরে পড়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। কুমিল্লা বোর্ডে করোনা পরিস্থিতির পর পরীক্ষা ভীতি এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়নসহ নানা কারণে ৫০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এইচএসসিতে ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. জামাল নাছের। কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, নোয়াখালী,ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার ৪৩১ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১৯২ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এইচএসসি ২০২৩ সারা দেশে শুরু হয়েছে।
এইচএসসিতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, কোথাও কোন বিশৃংখলা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। নকল প্রতিরোধসহ পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। নকল রোধে এসএসসির অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এইচএসসির কেন্দ্রগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের। তিনি ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ছয় জেলায় ৬ টি ভিজিলেন্স টিম অতিরিক্ত দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা ও দাউদকান্দি উপজেলায় নকল সরবরাহ নিয়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং শিক্ষক অব্যাহতি দেয়ার মত ঘটনা ঘটে।