টানা পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চান্দিনা পৌরসভার পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। পৌর সদরের ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকা, বাগানবাড়ি, মায়াকানন, সবুজবাগ পল্লী বিদ্যুৎ আবাসিক এলাকা, মহারং, হারং, বেলাশহর এলাকার বেশিরভাগ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়ি, বিভিন্ন বাসার নিচ তলায় পানি উঠে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ও বিল্ডিং কোড না মেনে আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে দায়ি করছেন সচেতন ব্যক্তিরা। বুধবার (২১ আগস্ট) সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।
১৯৯৭ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চান্দিনা উপজেলার ১৪.২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠে চান্দিনা পৌরসভা। এরপর কয়েকটি নির্বাচন হয়। প্রশাসক ছাড়াও ৪ জন মেয়র বিভিন্ন মেয়দে এখানে কাজ করেছেন। পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হলেও সে অনুযায়ী আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি।
টানা ভারী বর্ষনে চান্দিনা সরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে বেলাশহর সড়ক, দিশা নার্সারি হতে মহারং পশ্চিম পাড়া ও বেলাশহর সড়ক, মহারং সাব রেজিস্ট্রি জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়ক ও আশেপাশের আবাসিক এলাকার সবগুলো সড়ক, বাগানবাড়ি আবাসিক এলাকার সড়ক, চান্দিনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশের আবাসিক এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া হারং সরকার বাড়ি এলাকার সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে অন্তহীন দুঃখ দুর্দশায় রয়েছে এসব এলাকার মানুষ।
বাগানবাড়ী এলাকার বাসিন্দা চান্দিনা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ্ ভূইয়া মনে করেন, ‘পৌরসভার বেশিরভাগ ড্রেনের আউটফলে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি না থাকায় ড্রেন পরিষ্কার করা হয়না। এসব কারণে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে সড়ক ও আবাসিক এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে।
মহারং গ্রামের মো. জাকির হোসেন বলেন- ড্রেন নির্মাণের পর এগুলো আর পরিষ্কার করে না পৌর কর্তৃপক্ষ। পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় আমরা পানিবন্দী হয়ে গেছি। আমার বাড়িতে পানি উঠে গেছে। পানির সাথে এখন বিষধর সাপের আতঙ্কও রয়েছে।
এব্যাপরে চান্দিনা পৌরসভার প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হাসান দৈনিক ভোরের সূর্যোদকে বলেন, ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে আছে এমন কোন বিষয় আমাদেরকে কেউ জানায়নি। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠের ড্রেনেট টেন্ডার হয়ে গেছে। ঠিকাদার খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন। আর কিছু খাল অসাধু মানুষরা দখল করে রেখেছে। মেয়র কাউন্সিলররা পদক্ষেপ নিয়ে খাল উদ্ধার করলে পানিবন্দী দশাটি সহজেই লাঘব হবে।