চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব হাতে সময় পেলেই তিনি ছুটে যান, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়েন কোনো ক্লাসে। শুরু করেন পাঠদান।
একজন পেশাদার শিক্ষকের মতোই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে মজার সব গল্পের মাধ্যমে শিক্ষাদানে বেশ পটু তিনি। শুধু পড়ানোর ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতেও নিরলস কাজ করে যাওয়া এই ব্যক্তি হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো.সোয়াইব।
চান্দিনার নতুন ইউএনও জাবের মো. সোয়াইব ৩৪তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসনে যোগদান করেন। সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও শিক্ষকতা করার সুপ্ত বাসনা এখনো হৃদয়ে ধারণ করেন তিনি। আর এজন্য সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই চলে যান কোনো স্কুলে বা মাদরাসায়।
বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) দুপুরে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের মোহনপুর জনতা উচ্চ বিদয়ালয়, এবং মোহনপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন তিনি। এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ইউএনও স্যার আমাদের ইংরেজি ক্লাস নিয়েছেন। ক্লাসে এসে স্যার আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন এবং মজার গল্প বলেছেন। সেই সঙ্গে কীভাবে ইংরেজি দ্রুত আয়ত্ত করা যায় এবং পড়া মনে রাখা যায়, সেই নিয়মও শিখিয়ে দিয়েছেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ইউএনও স্যার সময় পেলেই মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে স্কুলে আসেন। বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে পাঠদান করান। স্কুল আঙিনা ঘুরে দেখেন। একই সঙ্গে শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শ দেন। মনে হয়, যেন শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরাও নতুন কিছু শিখেছি।
পাঠদানের বিষয়ে( ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াতে খুব ভালো লাগে। শিক্ষাজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই। ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো অসাধারণ ব্যাপার। এতে দুটি লাভ হয়। এক, শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারছি আবার ওই স্কুলে কোনো সমস্যা আছে কি না, সেটাও সরেজমিনে দেখতে পারছি। তিনি আরো বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।