কুমিল্লায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় ১২ সদস্য আটকসহ ০৭টি চোরাই সিএনজি,০৬টি চোরাই অটোরিক্সা ও ০২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটককৃত আসামীরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত ডাঃ নুরুজ্জামানের ছেলে হেদায়েত উল্লাহ, কোতয়ালী থানার মাহবুবের ছেলে মোঃ জালাল উদ্দিন (৩২), লাকসাম উপজেলার শ্রিয়াং গ্রামের মিছির আহাম্মদের ছেলে মোঃ অহিদুর রহমান, নবীনগর উপজেলার বারাইল গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন (২৬), ভোলাচং গ্রামের মৃত সোরাফ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল (৩৫), মোল্লাকান্দি গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে মোঃ তৌকির হোসেন (৩২), চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল জিনাইয়া গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ আবু তাহের (৩২), দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ ফজলু মিয়া (৪০), হোমনা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ বাবুল সরকার (৪৬), খুলনা জেলার তেরগাদা উপজেলার আদমপুর গ্রামের মৃত জালালুদ্দিনের ছেলে মোঃ ইমদাদুল হক (৫০), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার কায়ামারি গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে মোঃ রোকনুজ্জামান (৪২)। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম (বার) এসকল তথ্য জানান ।
আব্দুল মান্নান বলেন, এই চোর চক্রের সদস্যরা জেলার বিভিন্ন স্থান হতে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল কৌশলে চুরি করতো। পরে, চোরাইকৃত গাড়িগুলো গ্যারেজে এনে নম্বর প্লেট খুলে, বডি পরিবর্তন করে ও রং পরিবর্তন করে বিভিন্ন লোকজনের নিকট বিক্রয় করে। গত ১৭ই আগস্ট চৌদ্দগ্রাম উপজেলা হতে একটি চোর চক্র কৌশলে একটি সিএনজি চুরি করে। পরে সিএনজি চালক মামলা করলে সেই মামলার সূত্র ধরে আমরা চোরচক্রের মূল হোতা হেদায়েত উল্লাহকে আটক করি। এরপর হেদায়েতুল্লাহ কে জিজ্ঞাসা করে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে ধীরে ধীরে আমরা এই চোর চক্রের ১২ জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে, ০৭টি চোরাই সিএনজি, ০৬টি চোরাই অটোরিক্সা ও ০২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।