কুমিল্লার তিতাস উপজেলার যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার ৫ নং আসামি মোহাম্মদ বাদল রিয়াজকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারত থেকে দেশে ফেরার পথে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান মাহমুদ ভুইয়া।
জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত ৩০ এপ্রিল দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন তিনি।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ বাদল রিয়াজ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিরারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি যুবলীগের আহ্বায়ক জামাল হত্যা মামলার ৫ নং আসামি।
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে বাদল ভারতের ভ্রমণ শেষে দেশের ফেরার উদ্দেশ্যে ইমিগ্রেশন করতে আসেন। এ সময় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বন্দরে তাঁর ব্ল্যাক লিস্টেড থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আখাউড়া পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান মাহমুদ ভুইয়া জানান, বাদল একটি হত্যা মামলার আসামি। গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তিকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকায় বোরকা পড়া তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২ মে রাতে জামাল হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
ঘটনায় আলাদা কয়েকটি অভিযানে একজন শ্যুটারসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব বাহিনী। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল হক সৈকতের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দু’টি পিস্তল ও একটি রিভলবার উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ মামলায় কয়েকজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রয়েছে।