কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন বাঙ্গালী জাতি একদিন মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে। একটি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন। তিনি একদিনে স্বাধীনতা ঘোষনা করেননি। ধীরে ধীরে পরাধীন জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছেন। জাতির পিতার মতোই বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জাতিকে ধাপে ধাপে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি হতাশাগ্রস্থ জাতির সামনে ভিশন -২০২১ ঘোষণা করে প্রত্যাশার আলো জ¦ালিয়ে দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এসে আমরা কি দেখছি-২০২১ কে অতিক্রম করে নেত্রী ২০৪১ সালের ভিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর জন্য জাতিকে প্রস্তত করছেন। আমি কখনো হতাশা গ্রস্থ নই। আমি বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে ধনী দেশের কাতারে দাঁড়াবে। আমাদের সন্তানরা আমেরিকা,ইংল্যান্ড,অস্টেলিয়ার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও আপনারা কল্পনা করতে পারেননি স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু,মেট্ররেল, কর্ণফুলী ট্যানেল এর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। তাই ২০৪১ এর জ্ঞাননির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শেখ হাসিনার পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হলেই হবে না, খেয়াল রাখতে হবে আপনার সন্তানরা আজ বিএনপি-জামায়াতের অংশীদারিত্ব করছে নাকি শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রার অংশীদারিত্ব হচ্ছে।
বুধবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর টমসমব্রীজ এলাকায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দীন বাহার এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, সাবেক জেলা কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল,কুমিল্লা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ইফতেখার আলী , উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাজাহান সাজু প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা গণ এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধো বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আওতাধীন কুমিল্লার টমসম ব্রীজ এলাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট তিন তলা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নিমার্ণ কাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।এ ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বানিজ্যিক (দোকান) ভিত্তিতে ব্যবহার হবে আর তৃতীয় তলায় মুক্তিযুদ্ধা সংসদের অফিস, লাইব্রেরী ও মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহার হবে। এ ভবনের নির্মাণ কাজেরও ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি।